শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:৫৪ পিএম, ২০২৪-০৪-০৮
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কের কোথাও কোনো পরিবহনের ধীরগতি দেখা যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭০০ যানবাহন পারাপার হয়েছে; এর থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।
তিনি জানান, শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতুতে ২৯ হাজার ৭০০টি পরিবহন থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে ১৫ হাজার ৮৬ টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৫০ টাকা, আর বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে ১৫ হাজার ৬৯৪টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকা।
এর আগে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী ও ঢাকামুখী মোট ২৪ হাজার ১৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়। এই ২ দিনে সেতু দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি চলাচল করেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি কাটাতে সকাল থেকেই দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি বেড়েছে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা। গণপরিবহন সংকটে খোলা ট্রাক, বাস ও পিকআপভ্যানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন অনেককেই।
এ দিকে মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর গাড়ি বিকল ও মহাসড়কের কালিহাতীর ভাবলা এলাকায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও মহাসড়কে যানজট দেখা যায়নি। তবে গত দুদিনের তুলনায় আজ যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফউদ্দিন জানান, স্বাভাবিকের তুলনায় এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানবাহন স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে গেলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন একমুখী (ওয়ানওয়ে) করে দেয়া হবে। যাতে করে ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে। এ ছাড়া যাটজট নিরসনে মহাসড়কে ৭ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে কোনো যানবাহন বিকল বা দুর্ঘটনা কবলিত হলে তা দ্রুত অপসারণ করা যায়।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.